প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশের সব গৌরবোজ্জল ইতিহাসকে মুছে দেয়া হয়। বিকৃত ইতিহাস জেনে একটি প্রজন্ম গড়ে ওঠে, তারাই এখন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত হচ্ছে।
এসব মোকাবেলায় ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশের হারানো বিজয়গাঁথা তুলে ধরতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শোকাবহ আগস্টের শেষ দিন এ সভার আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি দাবি আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ অগ্রসেনানী। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ সংগঠনের জ্বালাময়ী স্লোগানের মাধ্যমেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’ এর স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হচ্ছে, সেই তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ আগামির বাংলাদেশে চলবে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তরুণ প্রজন্ম।
মায়ের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অধিকাংশ সময়ই জেলে কাটিয়েছেন। তখন তার সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ নিয়ে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করতেন মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। ৩০-৪০ টি মামলা চালানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর কাজগুলো দেখাশোনা করতেন। কিন্তু তিনি তেমন প্রচারে আসেননি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মার্শাল অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মুক্তি দিয়েছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা বানান। বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়াও তখন নিষিদ্ধ ছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার শপথ নিয়ে দেশে এসেছিলাম। খুনিদের ঔদ্ধত্য উপেক্ষা করে তাদের বিচার করে যাচ্ছি, যা অব্যাহত থাকবে। এদেশ ও মানুষের জন্য যেকোন ত্যাগ প্রস্তুত করতেও আমি প্রস্তুত।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া ছাত্রদের হাতে টাকা ও অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদেরকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই, খাতা, কলম তু্লে দিয়ে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ পড়ে তার আদর্শে গড়ে উঠতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।